মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এনআরসি বা নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর আসামে চলা চাপা উত্তেজনার মধ্যেই আসামকে ‘সুরক্ষিত এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের পর দেশের দ্বিতীয় বড় রাজ্য হিসেবে সুরক্ষিত এলাকা’র ক্যাটেগরিতে আসলো আসাম। তবে উত্তর-পূর্বের কয়েকটি রাজ্য এই ক্যাটেগরির আওতায় থাকলেও আসামের মতো সেখানে এত কড়াকড়ি করা হয়নি।
সুরক্ষিত এলাকার ক্যাটেগরির আওতায় থাকা এলাকায় সংবাদমাধ্যমের বিচরণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বিদেশী সাংবাদিকদের আসাম থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং যেসব বিদেশি সাংবাদিক ইতোমধ্যেই আসামে রয়েছেন তাদের বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, এনআরসির তালিকা প্রকাশের পর থেকেই আসামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিক্ষোভ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসনও। গোটা আসামে বিপুল নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, এনআরসির প্রতিবাদে আসামে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ১২ ঘণ্টার বনদের (হরতাল) ডাক দিয়েছে একাধিক ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দল। নেতৃত্বে রয়েছে অল আসাম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী গত ৩১ আগস্ট আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়। ওই তালিকায় নাম বাদ পড়েছে ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের।
ভারত সরকার অবশ্য আগেই বলেছে, যাদের নাম চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় স্থান পায়নি সমস্ত আইনি পদক্ষেপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এখনই বিদেশি ঘোষণা করা যাবে না। এনআরসির বাইরে থাকা প্রতিটি ব্যক্তি বিদেশি ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার সময়সীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছে, যাদের নাম তালিকা থেকে বাদ গেছে তাদের পক্ষে যুক্তি শোনার জন্য পর্যায়ক্রমে কমপক্ষে ১ হাজার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। এর মধ্যে ১০০টি ট্রাইব্যুনাল ইতোমধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে এবং আরও ২০০টি আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই স্থাপন করা হবে। ট্রাইব্যুনালে কেউ মামলা হারলেও তারা উচ্চ আদালত এবং তারপরে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করতে পারবেন।